রনি অনেকটা সুস্থ, এ সপ্তাহেই হাসপাতাল ছাড়তে পারেন
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান আবু হেনা রনি শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বর্তমানে রনি কথা বলা, হাঁটাহাঁটি করাসহ স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন। এ সপ্তাহেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রনি এখন অনেকটা সুস্থ। আজ তার বাঁ হাতে ড্রেসিং করা হয়েছে। এ সপ্তাহেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তিনি কথা বলা, স্বাভাবিক খাবার খাওয়া, হাঁটা-চলা সবই করতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, রনির মুখমণ্ডল ও শ্বাসনালী স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মুখে কিছু দাগ রয়েছে। সেগুলো ধীরে ধীরে চলে যাবে। তিনি যদি টিভিতে অ্যাঙ্করিং করতে চান, এখন করতে পারবেন। তার মুখে যেসব দাগ আছে, মেকআপ দিলে হয়তো আর বোঝা যাবে না।
বা হাতের ঘা শুকানোর জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের এখানে আসার কথা রয়েছে। তিনি এলে রনিকে তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এখন আগের তুলনায় অনেক ভালো আছি। বাম হাতে এখনো কিছু ক্ষত রয়েছে, সেখানে ড্রেসিং চলছে। আমার ভয়েস আগের মতোই হয়ে গেছে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ডাক্তাররা খুব আন্তরিকভাবে আমাকে চিকিৎসা করছেন। তাদের চিকিৎসায় আমি এখন অনেক ভালো আছি, সুস্থ আছি।
ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে রনি বলেন, উদ্বোধনের বেলুন উঠছিল না। কেউ একজন আগুন দিয়ে ওড়ানোর চেষ্টা করলেই বেলুনগুলো ব্লাস্ট হয়ে পুলিশসহ আমরা চার জন দগ্ধ হই।
এসময় তিনি একটি কৌতুক শোনান, ডাক্তার বলেছে এখানে বেশি লোকজন আসা যাবে না। তখন আমি বললাম, আমার তো এত ফল কেনার সামর্থ্য নেই। যারা আসছে সবাই ফল নিয়ে আসছে, সেই ফল খেয়ে এখন চিকিৎসার ফল অনেক ভালো। অনেক হেলদি আছি সেই ফল খেয়ে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জিএমপির চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে মঞ্চের পেছনে বিস্ফোরিত হয় গ্যাস বেলুন। এতে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে ওইদিন রাত ৯টার দিকে দগ্ধ ও আহত পাঁচজনকে আনা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
এসএএ/আরএইচ