ছুটির পর পুরোনো রূপে রাজধানী

সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবী মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটিতে ছিল দেশ। এই ছুটিতে রাজধানী ছেড়েছিলেন অনেক মানুষ। কেউ গেছেন গ্রামে প্রিয়জনের কাছে, কেউ আবার পর্যটন কেন্দ্রে। যার কারণে অনেকটা ফাঁকা ছিল শহর। এদিকে ছুটি শেষ হওয়া আজ থেকে নিজের পুরোনো রূপ ফিরে পেয়েছে ঢাকা। সড়কে বেড়েছে মানুষ ও পরিবহনের চাপ।
বিজ্ঞাপন
আজ (১০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সড়কে অফিসগামী মানুষের ভিড়। আগের মতো বাসের অপেক্ষা করছিলেন তারা। বাস আসতে দেরি হওয়ায় কেউ কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মোটরসাইকেল ভাড়া করে অফিসের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বাড়তে থাকে যানবাহন ও মানুষের চাপ। বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার, শান্তিনগর ও কাকরাইল এলাকায় তীব্র যানজটও দেখা গেছে।
যানজটের বিষয়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাসচালক আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন উত্তরা থেকে সদরঘাট যেতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। কিন্তু আজ উত্তরা থেকে রামপুরা আসতেই ১ ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। ছুটির দিনে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও তখন মানুষ কম থাকায় আমাদের তেমন আয় হয়নি।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বেইলী রোডের রিকশাচালক নাসির বলেন, গত কয়েকদিন স্কুল এলাকায় ক্ষ্যাপ ছিল না। রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা ছিল। আজ অনেক ক্ষ্যাপ আছে। আজ থেকে স্কুল কলেজ খুলেছে।
এদিকে ছুটিতে ঢাকাতেই ছিলেন মো. অলি। আজকের ব্যস্ত সড়ক দেখে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ছুটিতে যাতায়াত খুব সহজ ছিল। আজ থেকে আবার যানজট শুরু হয়েছে। কাজীপাড়া থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টায় শান্তিনগর এসেছি।
যানজট বাড়ায় কাজের চাপ বেড়ে গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আলমগীরের। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন স্কুল বন্ধ ছিল। বেইলী রোড প্রায় ফাঁকা ছিল বলা যায়। তখন এতো ডিইউটি করতে হয়নি। আজ থেকে স্কুলসহ অফিস খুলেছে। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি। বেড়েছে আমাদের ডিইউটিও। তবে ঢাকার আসল রূপ এটাই।
এমএসি/এমএইচএস