গণমাধ্যমের বিকাশে যা কিছু করা দরকার সরকার করছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা মনে করি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ভিত প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। তাই গণমাধ্যমের বিকাশে যা কিছু করা দরকার সরকার তা করছে। সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। যেখান থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে দৈনিক নতুন আশা পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অসচ্ছল সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষায় সহায়তা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনাকালে উপমহাদেশের কোথাও সাংবাদিকদের মৃত্যু ছাড়া সহায়তা করা হয়নি। আমরা আমাদের সাংবাদিকদের সহায়তা করেছি যা এখনো চলমান রয়েছে। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে, আবার মানুষের মধ্যে মিশ্রিত বিষয়েরও সৃষ্টি করে। সঠিকভাবে সংবাদ পরিবেশন না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম রাজনীতি করে না। আমরা অনেক সময় দেখি গণমাধ্যম ছোট বিষয়কে বড় করে দেখায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখানো হয় না। দেখা যায় সরকারের অর্জন তৃতীয় পাতায় স্থান পায় আর ভুল সংবাদ প্রথম পাতায় থাকে। সরকারের ভুল ও সমস্যার পাশাপাশি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটিও জনগণকে জানাতে হবে গণমাধ্যকে। মানুষকে আশাবাদী রাখতে হবে। জাতি হতাশ হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে না। গণমাধ্যমে সঠিকভাবে তথ্য পরিবেশিত না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ জানাব জাতির অর্জন যেন গণমাধ্যমে উঠে আসে। নারী ফুটবলাররা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের প্রত্যেকটা ফুটবলার বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছে। তারাও বলেছে তারা বঙ্গমাতা ফুটবল খেলে এসেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ ছিল, সেখান থেকে বাংলাদেশ আজ এ অবস্থানে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের অগ্রগতি, রাষ্ট্রের অগ্রগতি যেন গণমাধ্যমে উঠে আসে। নতুন আশা পত্রিকায় যেন এসব উঠে আসে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে পঞ্চম, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। রপ্তানির জন্য সরকার আজ প্রণোদনা দিচ্ছে।
দৈনিক নতুন আশা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আহসান আদেলুর রহমান এমপি, বেগম পারভীন হক সিকদার এমপি, ফিরোজ আলম মিলন প্রমুখ।
আইবি/জেডএস