পর্যটন এলাকার হোটেলগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনার সুপারিশ
দেশের পর্যটন এলাকার হোটেল যেগুলো নিবন্ধন ছাড়া আছে সেগুলোকে নিবন্ধনসহ কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।
বৈঠকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙনরোধে অস্থায়ী প্রকল্প হিসেবে জিওটিউব ব্যবহার করে স্পার স্থাপন করে নেওয়া অস্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ৩১৪০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পের ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রকল্পটি পুনরায় পিইসিতে পাঠানোর ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।
কমিটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সুন্দরবনের মধ্যে ইকো ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে সুপারিশ করেন।
বৈঠকে সভাপতি পর্যটকদের সুবিধার জন্য মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও সোনারচরে জেটি স্থাপনের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করেন।
সভায় কুয়াকাটাসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকাগুলোতে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সচিব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, সংসদ সচিবালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/জেডএস