ই-নামজারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
ই-নামজারি মামলার নিষ্পত্তিতে গত আগস্টে মাসে বেশি সময় নিয়েছে ২১টি জেলা। এসব জেলাগুলোকে মাত্রাতিরিক্ত অনিষ্পন্ন ই-নামজারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এছাড়া মামলা নিষ্পত্তিতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের কারণ জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত সকল জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সর্বশেষ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী ই-নামজারি আবেদন ২৮ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করার বিধান থাকলেও ই-মিউটেশন মনিটরিং ড্যাশ বোর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গত আগস্ট মাসে সকল বিভাগের অধীন ই-নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময় ঢাকা বিভাগে ৩৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬, রাজশাহী বিভাগে ৪৪, খুলনা বিভাগে ৪৪, বরিশাল বিভাগে ৪৪, সিলেট বিভাগে ৪৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ এবং রংপুর বিভাগে ৪৫ দিন।
এছাড়া ই-নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময় পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, গত আগস্ট মাসে যেসব জেলায় ই-নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময় অত্যধিক সেগুলো হলো, গাজীপুর-৭২ দিন, নারায়ণগঞ্জ-৫৯ দিন, মানিকগঞ্জ-৫৪ দিন, রাজবাড়ী- ৬৪ দিন, ফেনী- ৫৮ দিন, কুমিল্লা- ৫৩ দিন, কক্সবাজার-৫২ দিন, লক্ষ্মীপুর-৫৩ দিন, নওগাঁ- ৫৯ দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৬৮ দিন, খুলনা- ৫২ দিন, নড়াইল-৫৩ দিন, মাগুরা- ৫৪ দিন, ঝালকাঠি- ৫৩ দিন, বরিশাল- ৫৩ দিন, সিলেট- ৬২ দিন, সুনামগঞ্জ ৬০ দিন, শেরপুর ৬২ দিন, রংপুর -৫৩ দিন, গাইবান্ধা-৫২ দিন, দিনাজপুর-৫২ দিন।
চিঠিতে বলা হয়, www.land.gov.bd এ 'ই-নামজারি' পোর্টালে প্রবেশ করে এলাকা ভিত্তিক নামজারি তথ্যচিত্র' (ই-নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময়) দেখার অপশনটি সাধারণ নাগরিকসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং এ পোর্টালে প্রবেশ করে সরাসরি বিভাগ/ জেলা পর্যায় থেকে মনিটরিং করার সুযোগ রয়েছে।
ই-নামজারি পোর্টলে (www.land.gov.bd) নামজারি মামলার গড় নিষ্পত্তির সময় নিয়মিত মনিটরিং করাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ/জেলার অধীনে ২৮ দিনের অধিক মাত্রারিক্ত অনিষ্পন্ন ই-নামজারি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এবং ই-নামজারি মামলা নিষ্পত্তিতে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত মাত্রার সময় ব্যয় হওয়ার কারণ জানানোর জন্য চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগের পেন্ডিং থাকা আবেদনের বিষয়েও চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পূর্বের যে সকল আবেদন নিম্নোক্ত কারণে পেন্ডিং রয়েছে সেগুলো নিম্নোক্ত ধাপ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ করা হলো,
ক. ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব আবেদন অনলাইনে সাবমিট করা বা ম্যানুয়ালি অনুমোদন করে খতিয়ান প্রদান করা হয়েছে এমন আবেদন যদি সিস্টেমে পেন্ডিং থাকে তাহলে এই আবেদনগুলো একটি আদেশ দিয়ে নামঞ্জুর করে দিতে হবে। আদেশ 'এই আবেদনটি ম্যানুয়ালি প্রসেস করে খতিয়ান প্রদান করা হয়েছে সেজন্য অনলাইন থেকে না-মঞ্জুর করা করা হলো। এ আদেশে ম্যানুয়ালি সৃষ্ট খতিয়ান নম্বর, আদেশের তারিখ ইত্যাদি সকল রেফারেন্স উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়া ম্যানুয়ালি সৃষ্ট খতিয়ান চলমান মিউটেটেড খতিয়ান ডাটা এন্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
খ. ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোন নামজারি আবেদনের খতিয়ান চূড়ান্ত হয় কিন্তু ডিসিআর ফি পরিশোধ করা হয়নি এমন পেন্ডিং আবেদনগুলো আর্কাইভ করে দেওয়া যাবে। পরবর্তীতে এই আবেদনগুলোর ডিসিআর ফি পরিশোধ করার সুযোগ থাকবে। ডিসিআর ফি পরিশোধ না করলে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রিন্ট অপশন থাকবে না।
গ. উপরের 'ক' নম্বর কাজটি করতে গিয়ে যদি কোন আবেদনে পদক্ষেপ না নেওয়া যায় সেক্ষেত্রে সে সকল আবেদনগুলো একটি এক্সএল ফাইলে তুলে [email protected] এই মেইলে সেন্ড করে দিলে টেকনিক্যাল টিম পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিজনেস অটোমেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. পারভেজ হোসাইনের মোবাইল নম্বরে কল করা যাবে।
এসএইচআর/এসকেডি