সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়েছেন তিনি
সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সোহেল আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দেওয়ান নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় গাড়ি চালক। গাড়ি চালানোর সুবাদে মিঠুন চক্রবর্তীর প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে প্রতারক সোহেল হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিঠুনকে ড্রাইভার পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানান। প্রতারক মোহাম্মদ সোহেল আলম তার অপর সহযোগী মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর দুই প্রতারক মিঠুন চক্রবর্তীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিলে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলেও প্রলোভন দেখায়।
মিঠুন চক্রবর্তী তাদের কথায় বিশ্বাস করে গত জুলাই মাসে দুই ধাপে তাদের ৫ লাখ টাকা দেন। এরপর প্রতারক চক্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিঠুন চক্রবর্তী জানতে পারেন, এটা একটা ভুয়া নিয়োগপত্র। এরপর এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতারকরা মিঠুনকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্তী র্যাব-৭, চট্টগ্রামে প্রতারণার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়ান নগর থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ সোহেল আলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, সোহেল প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তার অপর সহযোগী মো. জসীম উদ্দিনদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষকে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
কেএম/এসকেডি