ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের তিন বছর
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের। ক্লাবপাড়া ঘিরে চলা শুদ্ধি অভিযানে একের পর এক রাঘববোয়ালের গ্রেপ্তার হওয়া বিরাট আলোচনার জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে।
মোটের ওপর দেড় মাস ধরে চলা এই অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটসহ ১১ জন গ্রেপ্তার হন। অনেকেই দেশ ছাড়েন।
তবে এখন অভিযানের ৩ বছরের মাথায় এসে দেখা যাচ্ছে ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা হিসেবে গ্রেপ্তারকৃতরা একে একে জামিনে বেরিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে মুক্ত হয়েছেন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কারাগারে থাকা অন্যরাও।
গত ২২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিনের আদেশ দেন। জামিনে কারামুক্ত হয়ে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।
• আরও পড়ুন : পদোন্নতি পেলেন না কেবল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম
এর আগে গত ১১ মে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন।
এরপর ১৮ মে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাটের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে জি কে শামীম, এনামুল হক এনু, তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়া, সেলিম প্রধান, মমিনুল হক সাঈদসহ অন্যরা এখনও কারাগারে আছেন।
এনএফ