সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জাল রশিদে চলে জমি রেজিস্ট্রি!
দলিলের নকল উত্তোলনে অতিরিক্ত অর্থ কিংবা জাল ভূমি উন্নয়ন কর রশিদে জমি রেজিস্ট্রিসহ অন্যান্য সেবা পেতে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ দিতে হয়। টাঙ্গাইলের নাগরপুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিনে যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ( জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম অভিযোগকারী, কয়েকজন সেবা গ্রহীতা ও অত্র কার্যালয়ের কয়েকজন দলিল লেখকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের মৌখিক প্রমাণ পেয়েছে।
দুদক জানায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, দলিলের নকল উত্তোলনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জালিয়াতির মাধ্যমে একজনের জমি আরেকজনের নামে দলিল করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানকারী টিম ওই কার্যালয় পরিদর্শনকালে অভিযোগকারী, কয়েকজন সেবা গ্রহীতা ও কার্যালয়টির কয়েকজন দলিল লেখকের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সঙ্গে কথা বলে। এসময় দলিলের নকল উত্তোলনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জাল ভূমি উন্নয়ন কর রশিদে জমি রেজিস্ট্রিসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে ঘুষ নেওয়ার নানা অনিয়মের মৌখিক প্রমাণ পায়।
দুদক জানায়, কার্যালয়টির নিয়মিত কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় দেলদুয়ার উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেল এ কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। যেমন- দেলদুয়ারের কর্মচারীকে দিয়ে নাগরপুরের অফিসের কাজ করানো হচ্ছে।
নিয়মিত কর্মকর্তা না থাকায় ওই অফিসে সপ্তাহে দুই দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভূমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরএম/এমএইচএস