ছাত্রদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগে ওসিসহ ৭ জনের নামে মামলা
চাঁদা না দেওয়ায় এক বছর আগে গুলি করে পঙ্গু করার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের মা ছেনোয়ারা বেগম।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী মফিজুর রহমান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জসীম উদ্দীন বলেন, ছয় পুলিশসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন ছেনোয়ারা বেগম। আদালত অভিযোগটি সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তপূর্বক প্রাথমিক সত্যতা আছে কি না এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন— চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরনবী, অসীম দাশ, সাবেক এসআই সাইফুল ইসলাম, কে এম নাজিবুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল হোসেন ও পুলিশের সোর্স মো. শাহজাহান ওরফে আকাশ।
আরও পড়ুন: জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ১২ সেপ্টেম্বর
মামলার অভিযোগে বাদী ছেনোয়ারা বেগম উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ১৬ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার বাসা থেকে পতেঙ্গায় নিজের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বের হন তার ছেলে সাইফুল ইসলাম। এসময় পুলিশের সোর্স শাহজাহান সাইফুলের মোবাইলে কল দিয়ে নগরের অক্সিজেন মোড়ে দেখা করতে বলেন। পরে সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যান। ওই কার সাইফুলকে নিয়ে দুই ঘণ্টা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে সাইফুলকে নিয়ে বায়েজিদ-সীতাকুণ্ড সংযোগ সড়কে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সাইফুলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। চাঁদা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে আর না দিলে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু সাইফুল এত টাকা কোত্থেকে দেবেন জানালে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পুলিশ সদস্যরা। পরে বাঁ পায়ের হাঁটুর ওপর গুলি করা হয় সাইফুলকে। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাইফুল নিজেকে দেখতে পান।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পুলিশ গুলি করার কারণে আহত সাইফুলকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়।
কেএম/এসএসএইচ