টিসিবির জন্য আনা ২০০ টন পেঁয়াজ পচা, দুর্গন্ধে টেকা দায়
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য আমদানি করা দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে ২০০ টন পচে গেছে। এ পচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধে সৃষ্টি হয়েছে জনভোগান্তি।
পচা পেঁয়াজ বাছাই করে ফেলা হয়েছিল চট্টগ্রাম টিসিবি কার্যালয়ের পাশে ডুবারপাড়ে। পচা পেঁয়াজের গন্ধ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, দুর্গন্ধে টেকা দায়।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাতুল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই-তিন দিন ধরে এলাকায় পচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। গন্ধে আশপাশের এলাকায় কেউ বসতে পারছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবি চট্টগ্রাম অফিসের প্রধান জামাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পচা পেঁয়াজ মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। মাটি চাপা দেওয়া হলে আর গন্ধ ছড়াবে না।
আগস্ট মাসে মোট ১১ লটে দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ কনটেইনারে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। বিভিন্ন ধাপে সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খালাস করে। কিন্তু শেষের দিকের ৯টি কনটেইনারে পচা পেঁয়াজ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম টিসিবি জানিয়েছে, বাকি কনটেইনারের পেঁয়াজ ভালো ছিল। পচাগুলো বাছাই করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তুরস্ক থেকে আমদানি করে টিসিবিকে পেঁয়াজ সরবরাহের দায়িত্ব ছিল দেশি সরবরাহকারী ঢাকাভিত্তিক কিং স্টার করপোরেশনের।
টিসিবি বলছে, সরবরাহকারীর ভুলে এ অপচয় হয়েছে। তাই নষ্ট পেঁয়াজের দায়ভার কোনোভাবেই নেবে না টিসিবি। কারণ সরবরাহের শর্তই ছিল ভালো পেঁয়াজ নেওয়া হবে। এতে সরকারের এক টাকাও ক্ষতি হয়নি।
টিসিবি চট্টগ্রাম অফিসের প্রধান জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল শুধু ভালো পেঁয়াজই আমরা নেব। কিন্তু ৯টি কনটেইনার খুলে দেখা গেছে যে, সব পেঁয়াজই নষ্ট। ফলে কনটেইনার খুলে পেঁয়াজ নামিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রথমে আমাদের অফিস চত্বরে রাখে। বাছাইয়ের পর পচাগুলো তারাই ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের চুক্তি ছিল, যেটুকু ভালো পাব, সেটুকুর টাকাই আমরা দেব। শিপিং ডকুমেন্ট দেরিতে পাওয়ার কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। যে প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ সরবরাহ করেছে, তারা এসে দেখেছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে।
পচা পেঁয়াজের ফলে টিসিবি বা সরকারের এক টাকাও আর্থিক ক্ষতি নেই। পচা পেঁয়াজের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সররাহকারী প্রতিষ্ঠানের- যোগ করেন জামাল উদ্দিন।
কেএম/আরএইচ