জাতীয় পার্টির প্রশ্নে ক্ষমা চাইলেন ইনু
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চন্নুর করা প্রশ্নের জবাবে ক্ষমা চেয়েছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু। সাবেক এ তথ্যমন্ত্রী নিজের ও সরকারের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি ক্ষমা চান। প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
ইনু বলেন, আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকটের জন্য এই কষ্ট হঠাৎ শুরু হয়েছে। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য আমি সরকারের তরফ থেকে জনগণের কাছে মাফ চাচ্ছি। আমি আপনাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
সরকারের মন্ত্রীদের অতিকথনের সমালোচনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা প্রকাশ করছেন। ধৈর্য ধরার আহ্বান করছেন। সেখানে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য দুঃখ কষ্ট নিয়ে সমবেদনার বদলে ঠাট্টা-মশকরা করছেন। এটা মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক। আমি এর নিন্দা জানাই। দায়িত্ব পালন যারা করতে পারবেন না, তারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন। মানুষকে বাঁচান, প্রধানমন্ত্রীকেও বাঁচান।
চা-শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই ঘটনা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। এতদিন ধরে তারা অনশন ধর্মঘট করছেন। কোনো মন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বললেন না। আমার মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে অনেকেই অন্ধকারে রাখে। পরিস্থিতি জটিল হলে তখন তাকে (প্রধানমন্ত্রী) হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি হস্তক্ষেপ করে সমাধান করেন।
জাসদ সভাপতি বলেন, আড়তদার, উৎপাদক, খুচরা বিক্রেতা একেকজন একেক কথা বলে দোষারোপ করছে। ডিমের ক্ষেত্রে তো দেখলাম ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপে দাম নেমে গেলো। তাহলে চালের বাজার কেন নামবে না? এর অর্থ ব্যাপারটা আমাদের হাতেই আছে।
এসআর/এসকেডি