স্বাধীনতা পদকে নাম ওঠা সেই আমির হামজার ছেলে পেলেন লঘুদণ্ড
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সাহিত্য ক্যাটাগরিতে আমির হামজার নাম প্রস্তাব করা তার ছেলে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামান লঘুদণ্ড পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, আছাদুজ্জামানকে তার অপরাধের জন্য তিরস্কার করা হয়েছে।
আছাদুজ্জামানের অপরাধ ছিল তার বাবা আমির হামজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- এ তথ্য গোপন করে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আমির হামজার নাম দেখার পর অনেকেই বিস্মিত হন, কারণ আমির হামজার নাম সাহিত্য অঙ্গনে আগে শোনা যায়নি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মারা যাওয়া এ লেখকের দুটি বই আছে - ‘বাঘের থাবা’ ও ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব।’
• আরও পড়ুন : আমির হামজাকে নিয়ে অনেক ভুল তথ্য জমা পড়েছিল
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা মুখে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম বাতিল করে সরকার।
আমির হামজার নাম সামনে আসার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বাবার পুরস্কার পাওয়ার পেছনে তার মেজো ছেলে আসাদুজ্জামানের তৎপরতার খবরও আসে সংবাদমাধ্যমে।
• আরও পড়ুন : ‘আমি কোনো পদক চাইনি, মানুষের সেবা করতে চেয়েছি’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব পদমর্যাদা) মো. আছাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বাবা মরহুম মো. আমির হামজার ফৌজদারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্তির তথ্য গোপন করে তাকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সুপারিশ নেন, যা অসংগত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা হয় ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানিসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে আবেদনে সুপারিশকারী বাণিজ্য সচিবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি প্রজ্ঞাপনে।
এসএইচআর/এনএফ