সিএনজি থেকে ফেলা মরদেহ যখন ‘সড়ক দুর্ঘটনা’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। ঠিক এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশে ফুটপাতের সামনে দাঁড়ায়।
এ সময় সিএনজির ডান পাশের দরজা খুলে বাইরে আসেন এক নারী। তার হাতে একটি ব্যাগ। একই সময় বাম দিকের দরজা খুলে বের হন এক পুরুষ। ওই দুজনকে তখন সিএনজির পেছনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে দেখা যায়। তারা এদিক-ওদিক নজর বুলিয়ে নেন। এ সময় দুজন পথচারী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তারা সিএনজি অতিক্রম করে সামনে যেতেই ওই নারী সিএনজিতে না উঠে পেছন দিক দিয়ে চলে যান। আর তখনই ওই পুরুষ সিএনজির বাম দিকের দরজা দিয়ে একটি মরদেহ ফুটপাতের ওপরে ফেলে দ্রুত চলে যান। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে ঘটা এ দৃশ্য ধরা পড়ে একটি সিসি ক্যামেরায়। যা ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে।
পরে, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ওই মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে পুলিশের ধারণা, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
>> রোগী মারা যাওয়া পর্যন্ত কমিশন ঢোকে তাদের পকেটে
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা শেরেবাংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, প্রথমে তার নাম পরিচয় পাইনি। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় জানা গেছে তার নাম ইসমাইল হোসেন (৫৪)। তিনি হানিফ পরিবহনের চালক ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার বাড়ি যশোর জেলায়। আমরা তার পরিবারকে খবর দিয়েছি। তারা ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা এলে মরদেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে ফুটপাত থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে যে জখমের চিহ্ন আছে সেটা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তবে এটি হত্যা নাকি সড়ক দুর্ঘটনা সে বিষয়ে কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
এসএএ