বরগুনার ঘটনাটি একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বরগুনার ঘটনাটি যেটা দেখেছি, এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে। ঘটনাটি এভাবে না ঘটলেও পারত।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বরগুনার ঘটনা যেটা আমরা দেখেছি, এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে। কেন অহেতুক এটা হলো আইজিকে (পুলিশ মহাপরিদর্শক) বলা হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’
কার বাড়াবাড়ি ছিল- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে কমিটি হয়েছে, প্রতিবেদন আসুক। আমার কাছে মনে হয়েছে, এ জিনিসটা এতখানি বাড়াবাড়ি করা উচিত হয়নি। কার বাড়াবাড়ি ছিল, সেটা জানা যাবে ইনভেস্টিগেশনের পর।’
একজন পুলিশ সদস্য জনপ্রতিনিধিকে এভাবে বলতে পারেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কিছু দেখেছি, আবার অনেক কিছু দেখিনি। ফেসবুকে হয়তো এক দিকের ভিডিও আসছে। এর অন্য কোনো দিকও থাকতে পারে। আমি যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে এটা না হলেও পারত। ঘটনাটা এভাবে ঘটানো উচিত হয়নি, সেটাও আমি বলেছি।’
আজ ৪০ জন নতুন পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কী কথা হলো- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজই হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। দেশে শান্তি বজায় রাখতে যা যা করার, আমরা সেগুলো করে যাচ্ছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের ভূমিকা মুখ্য থাকে।’
‘তাদের (এসপি) বলেছি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে আপনারা দায়ী থাকবেন। জেলা প্রশাসক সবার সঙ্গে সমন্বয় করেন, আপনারা সেখানে কাজ করবেন। নির্বাচন আসছে, নির্বাচনে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারো প্রতি আনুকূল্য কিংবা বিরাগ দেখানোর প্রয়োজন নেই। কেউ অন্যায়, দেশদ্রোহী কাজ করলে, আপনারা দ্রুত অ্যাকশন নেবেন- এটাই ছিল আমাদের কথা।’
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বরগুনা শহরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন অন্তত ৬০ জন।
এসএইচআর/এমএইচএস