দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজপথে সহকর্মীরা
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরাপার্সন সাজু মিয়ার ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে প্রথমে সমবেত হন তারা। পরে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংবাদিকরা। মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্বপালনের মাধ্যমে জাতির কাছে সত্য ঘটনা উন্মোচিত করেন। সেই সাংবাদিক যখন তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে বারবার হামলা, নির্যাতনের শিকার হন তখন এটা আর মেনে নেওয়া যায় না। এই সাংবাদিক এবং ক্যামেরাপার্সন কামরাঙ্গীরচর সংলগ্ন এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তার কাছে শক্ত প্রমাণ ছিল যে, সেখানে একজন ভুয়া সনদ নিয়ে, ডাক্তার না হয়েও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই আমাদের পেশাগত নিরাপত্তা।
তারা আরও বলেন, একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এভাবে নির্যাতনের শিকার হবে, এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যদি আমরা এর সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে সব সাংবাদিক মিলে বিচারের দাবিতে বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব। পদে পদে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর বিচার চাই আমরা। জড়িতদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে যেন পরবর্তীতে আর কেউ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।
প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, দিনাজপুর সাংবাদিক সমিতি, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরাপার্সন সাজু মিয়ার ওপর হামলা ও মারধর ঘটনা ঘটে।
এএসএস/এসকেডি