ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগ এনে যুবলীগ নেতার মামলা
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপির মাধ্যমে ভোটের ফল জালিয়াতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের এক যুবলীগ নেতা।
বুধবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইসরাত জাহান নাসরিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী।
বাদীর আইনজীবী বলেন, আদালতে আজ এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। মামলার বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ফল ও প্রকাশিত গেজেট বেআইনি ঘোষণা চেয়ে মামলা দায়ের করেন হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য দাবি করা নাসির উদ্দিন নামে ওই প্রার্থী।
মামলায় স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার, সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা, বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগ দলীয় শওকত আলম, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী মোহাম্মদ মুজিবুল আলম চৌধুরী ও মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ ২৩ জনকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১৫ জুন হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৬ হাজার ১৯৮ ভোটে নৌকা মার্কার প্রার্থী শওকত আলমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরাজিত নাসির উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৬৬৯।
নাসিরের আইনজীবী হাসান আলী বলেন, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কর্মকর্তার অন্যায় আবদার না রাখায় ইভিএমের মাধ্যমে ভুল ফল প্রদর্শন করে মামলার বাদী নাসির উদ্দীনকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাদী পুনঃনির্বাচন ও ভোট পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য না করে ৮ জুলাই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন তিনি।
কেএম/আরএইচ