চালকদের বিশ্রামের জন্য ডরমিটরি থাকবে সায়েদাবাদ নতুন টার্মিনালে
সায়েদাবাদে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন টার্মিনাল এলাকা।
এ সময় তিনি বলেন, এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই নির্মাণকাজ শেষ হবে।
বুধবার (১০ আগস্ট) সায়েদাবাদ আধুনিক বাস টার্মিনালের সার্বিক বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, সায়েদাবাদ আধুনিক বাস টার্মিনালে একটা ডরমিটরি করা হবে। সেখানে যেসব চালকরা ৮ ঘণ্টা ডিউটি শেষে আসবে, তারা চাইলে খেতে পারবে, বিশ্রামেরও ব্যবস্থা থাকবে। পাশেই গাড়ি ওয়াশ করার সুযোগও থাকবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, সায়েদাবাদ টার্মিনালের সংস্কার ও ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে দেড় মাস আগে। সাইড ওয়ালের কাজ শুরু হয়েছে ২-৩ দিন আগে। এভাবে আলাদা আলাদা সময়ে একেকটা কম্পোনেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, টার্মিনালের চার পাশে ১০ ফুট উচ্চতার সাইড ওয়াল থাকবে। এর ফলে যে কোনো জায়গা দিয়ে পাবলিক ঢুকতে পারবে না। পাবলিক ঢোকার জন্য আলাদা গেট থাকবে। সেখানে আনসার থাকবে, সিসিটিভি থাকবে, লাইটিং থাকবে; মোটকথা সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেম থাকবে। এছাড়া টার্মিনালের প্রবেশমুখে অটোমেশনের ব্যবস্থা থাকবে। গাড়িগুলো এন্ট্রি করে একটা কাগজ নিয়ে টার্মিনালের ভেতরে ঢুকে যাবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের আগের কাউন্টারগুলো থাকবে আগের জায়গাতেই। সেগুলো এখন সংস্কার করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের কাউন্টারও সংস্কার করা হচ্ছে। কুমিল্লা কাউন্টার নতুন করে করা হচ্ছে। পুরো এলাকা ওয়াক ওয়ে দিয়ে কানেক্টেড থাকবে। এতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। আর বাসগুলো লে আওয়ার টাইম পর্যন্ত গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং এখান থেকে মুভ করবে। আর কেউ স্টে করতে চাইলে ডিপোতে যেতে হবে। এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা ফ্লাইওভার ব্যবহার করে বেরিয়ে যেতে পারবে। টার্মিনালে আপাতত ১০০ বাস রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, বাসের সংখ্যা বাড়াতে জায়গা নেওয়ার চিন্তা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এএসএস/এএজে/এসকেডি