টাঙ্গাইল থেকে কিশোরীকে চট্টগ্রাম এনে আটকে রাখার অভিযোগ
ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে টাঙ্গাইল থেকে চট্টগ্রামে এনে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর কথা বলে অসামাজিক কাজে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে আটকে রেখে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক দুই জন হলেন- সাদিয়া আক্তার রুনা (১৯) ও মো. ফরিদ (২৮)।
মো. নুরুল আবছার বলেন, ভিকটিম টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার একটি প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ভিকটিমের প্রতিবেশী সাদিয়া আক্তার রুনার সঙ্গে তাদের ভালো সর্ম্পক ছিল। গত ৩১ জুলাই রুনা ভিকটিমকে ফোন করে জানায় চট্টগ্রামে ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। আরো ২ জন মেয়ে সেখানে পড়াশোনা করে। তুমি এলে ভালো পড়াশোনা করতে পারবে। পরদিন ১ আগস্ট সকালে ভিকটিম কাউকে কিছু না বলে রুনার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘাটাইল থেকে চট্টগ্রামের হালিশহর চলে আসে। এরপর রুনার কথামতো মো. ফরিদের সঙ্গে অটোরিকশা করে হালিশহর থানাধীন একটি টিনশেড ভাড়াঘরে আসে। ভিকটিম ঘরে অন্য কোনো মেয়ে মানুষ দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা ও এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে রুনা ভিকটিমকে জানায় মো. ফরিদ তার স্বামী। ভিকটিম বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে রুনা নিষেধ করে এবং তার টাকা পয়সা এবং অলঙ্কার নিয়ে নেয়। এছাড়া গত ৩ আগস্ট রাতে আসামি ফরিদ ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিম বটি দিয়ে ধাওয়া করলে ফরিদ চলে যায়।
এদিকে ভিকটিমের বাবা ভিকটিমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বিভিন্নভাবে মেয়ের সন্ধান করতে করতে জানতে পারেন, তার মেয়েকে চট্টগ্রাম শহরে কয়েকজন অপরাধী আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য ভিকটিমের বাবা র্যাব-৭ আবেদন করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আবেদন পাওয়ার পর ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের আটকের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি রাখা রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার একটি টিনশেড ভাড়াঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই দুইজনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আসামি মো. ফরিদের সঙ্গে আসামি রুনার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে থাকত। তারা মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্নভাবে সহজ সরল নারী ও শিশুদের কাজ দেওয়ার নাম করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ উর্পাজনের জন্য অসামাজিক কাজে নিয়োজিত করত তারা।
কেএম/জেডএস