সারের দামবৃদ্ধি কৃষকের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি কমরেড ডা. এম. এ. সামাদ বলেছেন, সরকার হঠাৎ করেই ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বাড়িয়েছে। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এ যেন কৃষকদের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষক বাঁচাতে সারের দাম কমানো এবং গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান বলেন, কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সারা দেশে লোডশেডিং চলছে।
এছাড়া, অন্যান্য বক্তারা পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেন এবং অবিলম্বে সারের বাড়তি দাম প্রত্যাহার ও দুর্নীতি লুটপাট বন্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমরেড তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জাহিদ আনসারী, কমরেড তারেক ইসলাম বিডি, কমরেড নূর আফসানা নীপা প্রমুখ।
এদিকে ইউরিয়া সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, কৃষি পণ্যের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা, বিএডিসির মাধ্যমে ন্যায্য দামে কৃষি উপকরণ বিতরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান।
সমাবেশে কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ সবুজ বলেন, ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের আবারও সমস্যায় ফেলেছে সরকার। কৃষকরা এমনিতেই উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। এরইমধ্যে আবার সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে কৃষকদের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে।
তিনি বলেন, সরকার নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছে। অথচ কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন না ঘটিয়ে বরং কৃষকদের বিরুদ্ধে নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কৃষি পণ্য উৎপাদন না করে আমদানি নির্ভর হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব সরকার কৃষিমুখী ও উৎপাদনমুখী কাজে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে।
আইবি/এমএইচএস