ফেব্রুয়ারির পর করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু জুলাইয়ে
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যথাক্রমে ৩২২ ও ৬৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মার্চ মাসে অনেকটা হঠাৎ করেই কমে আসে মৃত্যুর সংখ্যা।
মার্চ মাসে ৮৫ জনের মৃত্যুর পর এপ্রিল, মে মাসে আরও কমে আসে মৃতের সংখ্যা। পরের ওই দুই মাসে মারা গিয়েছিলেন ৫ জন ও ৪ জন। এরপর জুন মাসে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। আর জুলাই মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের; যা জুন মাসের ৮ গুণ।
জুলাই মাসে যে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ৮৫ জন। বাকি ৫৭ জন ভ্যাকসিন নেননি।
ভ্যাকসিন নেওয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৭ জন কেবল এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন ৫২ জন আর তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকালও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৯৫ জনে। ৩৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫ হাজার ৯৯৩ জনে।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে রাজধানীর স্কুলে
এদিকে করোনা প্রতিরোধে চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা কার্যক্রম। শুরুতে ঢাকা শহরের কিছু বিদ্যালয়ে এ টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, শিশুদের টিকা নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা আছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকাও মজুত আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে এলে দিনক্ষণ ঠিক করে আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করব। ঢাকার যেসব এলাকায় কোভিডে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে সেসব এলাকায় আগে টিকা দেওয়া হবে।
এনএফ