স্বাস্থ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তার আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন>> উত্তরায় ৫ কাঠার প্লট ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা!
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে মো. ফজলুল হকের স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ জ্ঞাতআয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বা অবৈধ সম্পদ হিসাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফজলুল হকের সম্পদের বিবরণের মধ্যে রয়েছে
রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন দেওডোবা মৌজায় একটি ৩ তলা বিল্ডিং (২৩৪০ বর্গফুট) ও একটি টিনশেড বাড়ি, একই উপজেলার বানিয়াপাড়া, মলাখাওয়ার পাথার, আলমনগর, দর্শনা, ফতেপুর ও পাইকারপাড়া এলাকায় ৩.৯২ একর জমি, কুড়িগ্রামের কাশিপুর ইউনিয়নে ৮ শতাংশ জমি। যার দালিলিক মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ টাকা। এছাড়া স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে রংপুর সদর উপজেলাধীন দর্শনায় ৫ তলা বাড়ি ও জমি হেবা মূল্যে দান করেন।
অন্যদিকে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদের প্রমাণ পেয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
আরএম/জেডএস