কমান্ড আমার হাতে, শক্তি পুলিশ-বিজিবির হাতে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবির হাতে, শক্তিটা সেনাবাহিনীর হাতে। মূল শক্তিটা আমার হাতে নয়। আমরা কমান্ড করব শক্তিগুলো যেন এক্সপান্ড করে।
সোমবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সহমত, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়। আপনারা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসটা নিন।
আরও দেখুন >> বিতাড়িত করতে হবে না, দায়িত্ব ছেড়ে দেব : সিইসি
তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়েছে, আমরা তা প্রয়োগের চেষ্টা করব। অনেকগুলো প্রস্তাব পেয়েছি। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও পেয়েছি। আমাদের ম্যান্ডেন্ট কিন্তু লিমিটেড। সংবিধান কাল, পরশু, তারপর সংশোধন হলে আমরা সেভাবেই করে দেব। কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব।
সিইসি বলেন, আপনারা যারা রাজনৈতিক শক্তিগুলো আছেন, আপনারাও চেষ্টা করে যান, যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ অনুকূল হয়। এজন্য সব দলেরই আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। যে করেই হোক জিততেই হবে, কোনোভাবেই হারব না- এই মানসিকতা দূর করতে হবে। নির্বাচন হলে সবাই জিতবে না। অনেকেই হারবে, একজন জিতবে। এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার মানসিক শক্তি রাখতে হবে সবাইকে।
আরও দেখুন >> নির্বাচন নিয়ে সংকটে পড়ে গেছি : সিইসি
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন আমরা আমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করছি। সম্প্রতি কয়েকটি পৌরসভা ও সিটিতে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে তারা আমাদের সহায়তা করবে। আমরা যেটা চাইব, আশা করি তা দেবে। না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা সরকারের কাছে যে সাহায্য সহযোগিতা চাইব, তা আইনের আলোকেই চাইব। সে বিষয়ে আপনারা আমাদের ভূমিকা দেখবেন। আমরা সত্যি সত্যি আমাদের আরোপিত ক্ষমতা প্রয়োগ করব।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের কাজটা খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আপনাদেরও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের চিন্তা-চেতনায় যদি ঐক্য থাকে তাহলে কোনো কাজ যত কঠিন হোক না কেন যতই অসাধ্য হোক না কেন আমরা সেটাকে সাধ্যের মধ্যে আনতে পারব।
আরও দেখুন >> ওবায়দুল কাদেরকে ‘স্যার’ বলা ঠিক হয়নি : সিইসি
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, আস্থা না থাকার মতো কিছুই করিনি, তারপরও আস্থা নেই। সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমাদের ভূমিকা রেফারির মতো। খেলোয়াড় আপনারা। এখন খেলোয়াড়দের মধ্যে সমঝোতা না হলে খেলায় লাল কার্ড, হলুদ কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল, পাঁচ নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে অংশ নেন।
এসআর/ওএফ