২৬শ’র চার্জার ফ্যান ৩৫শ বেচে গুনতে হলো লাখ টাকা জরিমানা
লোডশেডিংয়ের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সব ধরনের চার্জার ফ্যানের চাহিদা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কারসাজি করে ২৬শ টাকার চার্জার ফ্যান ৩৫শ টাকায় বিক্রি করছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। অনুসন্ধানের মাধ্যমে এক অসাধু ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট, নবাবপুরের মার্কেটে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় দেশব্যাপী চার্জার লাইট ফ্যানসহ ইলেকট্রিক সামগ্রীর উপর অভিযানের অংশ হিসেবে আজ মহানগরীর বংশাল থানাধীন সুন্দরবন স্কয়ারসহ নবাবপুর রোডে অবস্থিত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের বেলাল ট্রেডিং কর্পোরেশনে ক্যাশ মেমো দেখে অভিযান পরিচালনাকারী দল বুঝতে পারে প্রতিষ্ঠানটি কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে বৈদ্যুতিক চার্জার লাইট, ফ্যান বিক্রি করছে। এ অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে ইলেকট্রিক পণ্যটির পাইকারি বিক্রেতা নবাবপুর রোডে অবস্থিত মোজাম্মেল ইলেকট্রিক মার্কেটের ফেরদৌস ইলেক্ট্রনিক্স নামক দোকানে তদারকি করে মূল আমদানীকারক খান ট্রেডিং হাউস নামক একটি দোকানকে শনাক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী দল। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ১২ ইঞ্চি সাইজের বৈদ্যুতিক চার্জার ফ্যানের দাম গত ১৭ জুলাই ২৬০০ টাকা, ১৮ জুলাই ২৭০০ টাকা, ২১ জুলাই ৩০০০ টাকা এবং একই পণ্য ২৩ জুলাই ৩৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে তারা। অর্থাৎ ৫ দিনের ব্যবধানে চার্জার ফ্যানের দাম ২৬০০ টাকা থেকে কারসাজির মাধ্যমে বাড়িয়ে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে। এই অপরাধের প্রমাণ পাওয়া পেয়ে প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এএসএস/এসআই/আইএসএইচ