২১ আগস্ট মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল ইকবাল
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল হরকাতুল জিহাদের সদস্য ইকবাল হোসেন জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিম (৪৭)। সেদিন মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল তিনি। এর দীর্ঘ ১৭ বছর পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
র্যাব বলছে, গ্রেনেড হামলার পর আত্মগোপনে যায় ইকবাল। মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড হয় তার। আত্মগোপনে থাকাকালীন ইকবাল নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশা মেকানিকের ছদ্মবেশ ধারণ করে। র্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার অব্যাহত অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করে সে। প্রথমে ‘সেলিম’ এবং পরবর্তীতে ‘জাহাঙ্গীর’ নাম ধারণ করে ইকবাল। সে ঝিনাইদহের আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে।
মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রবাসে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ২০২০ সালের শেষের দিকে অন্যদের মতো তাকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত রাতে গ্রেপ্তার হয় সে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
র্যাব ডিজি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঘৃণিত, কলঙ্কজনক ও বিভীষিকাময় একটি দিন। সেদিন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্যভাবে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমত; তিনি বেঁচে যান। আলোচিত গ্রেনেড হামলায় শাহাদত বরণ করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকেই এখনও সেই দুঃসহ এবং বিভীষিকাময় স্মৃতি ও ক্ষত বয়ে চলেছেন।
ইতোমধ্যে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আদালতে দীর্ঘ সাত বছরে সর্বমোট ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা হয়। রায়ে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
এই চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো র্যাবও তৎপরতা অব্যাহত রাখে। র্যাব ২০০৫ সালে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তার ভাই মুহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ ওরফে অভিকে গ্রেপ্তার করেছিল। এছাড়া এই মামলার সংশ্লিষ্টতায় ২০০৭ সালে ১৬টি আরজিএস গ্রেনেড উদ্ধারসহ এ পর্যন্ত ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ছাত্রদল থেকে হুজিতে যোগ দেয় ইকবাল
গ্রেপ্তার ইকবালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি ইকবাল এইচএসসি পাস। স্কুল ও কলেজে পড়ার সময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানিয়েছে। ইকবাল ১৯৯৪ সালে কেসি কলেজ, ঝিনাইদহে ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি ছিল। ১৯৯৫ হতে ১৯৯৮ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মজীবী হিসাবে অবস্থান করে সে। দেশে ফিরে জঙ্গি ইকবাল আইএসডি ফোন ও অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। এ সময় সর্বহারা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। ২০০১ সালে তার চিন্তা-চেতনা ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসে। সে ঝিনাইদহের স্থানীয় এক জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশে (হুজিবি) যোগদান করে।
মুফতি হান্নানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল ইকবালের
ইকবাল ২০০৩ সালে মুফতি হান্নান ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সান্নিধ্যে চলে আসে। জঙ্গি প্রশিক্ষণও নেয়। ২০০8 সালে আগস্ট মাসে মুফতি হান্নানের নির্দেশে ঢাকায় চলে আসে ইকবাল। আশ্রয় নেয় গোপন আস্তানায়। সেখানে হুজিবি নেতা মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য সমমানদের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। সে মুফতি হান্নানের সাথে বিভিন্ন স্থানে দলীয় গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণ করত।
২১শে আগস্ট মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল ইকবাল
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে ইকবাল জানায়, মুফতি হান্নানের নির্দেশে সে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে। মুফতি হান্নান হামলা পরিচালনার জন্য তাকে গ্রেনেড সরবরাহ করে। হামলা চলাকালীন সময়ে সে মঞ্চ লক্ষ্য করে নিজে গ্রেনেড ছুঁড়েছিল। ঘটনার পর সে ঝিনাইদহে গমন করে এবং সেখানে আত্মগোপনে অবস্থান করতে থাকে।
ঘটনা পরবর্তী সময়ে র্যাব জঙ্গি ইকবালকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। ২০০৮ সালে জঙ্গি ইকবালকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহে তার নিজ বাড়িতে এবং পরবর্তীতে গাজীপুর ও সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় আত্মগোপনে থাকাকালীন সে নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিক্সা মেকানিক ইত্যাদি ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল বলে জানায়। সে ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করে।
দেশে ফিরে পুনরায় সমমনাদের সাথে যোগাযোগ করছিল ইকবাল
প্রবাসে আত্মগোপন থাকাবস্থায় প্রথমে ‘সেলিম’ এবং পরবর্তীতে ‘জাহাঙ্গীর’ নাম ধারণ করে ইকবাল। এক পর্যায়ে সে প্রবাসে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে, তাকে ২০২০ সালের শেষের দিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফেরত এসে জঙ্গি ইকবাল আত্মগোপনে থেকে সমমানদের সাথে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করে। এ সময় এনএসআই ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখা জঙ্গি ইকবাল সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রাখে।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান বলেন, ২০০৮ সালে ম্যানুয়াল পাসপোর্ট ছিল। সেসময় ইকবাল নিজের নাম পরিবর্তন করে দেশ ত্যাগ করে। দেশে ফেরার সময় সে অন্য অবৈধ অভিবাসীর মতোই ফেরত আসে।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযানিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে র্যাব বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত মামলা দুটি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৬৪, আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রায়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩০৭।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি
বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ বাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি
বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুর রউফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মুরসালিন, মুত্তাকিন, জাহাঙ্গীর বদর, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. ইকবাল, রাতুল আহমেদ, মাওলানা লিটন, মো. খলিল ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।
বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামি
বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত ১১ জন হলেন মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমীন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ওরফে ডিউক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, জোট সরকার আমলের তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক পুলিশ সুপার রুহুল আমীন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শুরু হয়। ৬১ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারে এসে এর অধিকতর তদন্ত করে। ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। তাতে আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক সাংসদ শাহ মোহাম্মদ কায়কোবাদ, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম (ডিউক), এনএসআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম ও মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি খান সাইদ হাসান ও মো. ওবায়দুর রহমান, জোট সরকারের আমলে মামলার তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আবদুর রশিদ, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ এবং হুজি-বির ১০ জন নেতা।
আসামিদের মধ্যে পুলিশের সাবেক ছয় কর্মকর্তা, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান ছিলেন। আদালত রায়ের দিন ধার্য করলে ওই দিন তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান আদালত। বাবর, পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে আছেন। পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। জামায়াতের নেতা মুজাহিদ, মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির অন্য মামলার রায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ও আসামি ফরিদপুরের মাহাবুব মুস্তাকিম ও আনিসুর মুরসালিন। এই দুই ভাই দীর্ঘদিন ভারতের নয়াদিল্লির তিহার কারাগারে আছেন।
জেইউ/এইচকে/এমএআর