রাইড শেয়ারিং নিয়ে পাঠাও-উবারের যৌথ ক্যাম্পেইন
দেশের রাইড শেয়ারিং খাতে নিরাপত্তার মান বাড়াতে যৌথ ক্যাম্পেইন পরিচালনার ঘোষণা করেছে পাঠাও এবং উবার। এর পাশাপাশি গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করাও এ ক্যাম্পেইনের একটি লক্ষ্য।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো রাইড শেয়ারিং খাতে এ ধরনের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে উবার ও পাঠাও একত্রে উভয় প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন রাইড শেয়ার সুরক্ষা পদ্ধতি ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবে। এর মধ্যে রয়েছে চালক ও গাড়ির যাচাইকৃত তথ্যসহ ট্র্যাকযোগ্য ও ইন্স্যুরেন্সকৃত রাইড এবং বাধ্যতামূলক কাগজপত্র যাচাইয়ের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা।
ক্যাম্পেইনের প্রথম পর্যায়ে উবার ও পাঠাওয়ের সব ড্রাইভারের জন্য একটি একই ট্রেনিং মডিউল চালু করা হবে। এর লক্ষ্য হলো ড্রাইভারদেরকে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলা। মোটরযান চলাচল বিষয়ে সাধারণ নির্দেশনা, ট্র্যাফিক সংকেত ও ব্যবহারবিধি, ট্র্যাফিক ও সড়ক নিরাপত্তার নিয়ম ভঙ্গের প্রভাবসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় এই ট্রেনিং মডিউলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, যাত্রী ও চালকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন উদ্যোগও আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, উবারের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের নিরাপত্তার উন্নত মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এবং সবার জন্য নিরাপদ রাইডও নিশ্চিত করবে।
উবার বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারত প্রধান আরমানুর রহমান বলেন, ইউজারদেরকে নিরাপত্তা ও উন্নত অভিজ্ঞতা পেতে সাহায্য করা আমাদের কাছে সবসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাইডশেয়ারিংয়ের নিরাপদ ও সুবিধাজনক রাইডের কারণে আমরা শুরু থেকেই মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। আজ পাঠাও-এর সাথে সম্মিলিতভাবে সেই মানকে আরও উন্নত করে তোলার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। কোম্পানি হিসেবে একটি সাহসী ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা উন্নত করতে কাজ করেছি। এর পাশাপাশি এই খাতের জন্য নতুন মানও স্থাপন করেছি। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং নীতি সংক্রান্ত প্রধান অংশীদারদের সাথে সম্মিলিতভাবেও আমরা এগোচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ, আমাদের যাত্রী ও চালকদের জন্য রাইডশেয়ারিংকে নিরাপদ করার জন্য তাদের যে লক্ষ্য, তার সাথে আমরাও একমত।
যাত্রার শুরু থেকে সব অংশীদার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে রাইডশেয়ারিং খাত। এর লক্ষ্য হলো একটি বাটন ট্যাপ করার মাধ্যমে সুবিধাজনক ও নিরাপদ যাতায়াতের সুযোগ প্রদান করে যাতায়াত ব্যবস্থার চিত্র পাল্টে দেওয়া। বাংলাদেশে রাইডশেয়ারিং একটি জনপ্রিয় পরিবহন মাধ্যম হয়ে ওঠার পেছনে প্রধান কারণ হলো এর সেফটি ফিচারগুলোর সুবিধা। উবার ও পাঠাওয়ের একটি দীর্ঘমেয়াদী যৌথ উদ্যোগের পথ চলা শুরু হলো। উভয় প্ল্যাটফর্মে যাত্রী ও চালকদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে ক্রমাগত নিজেদের মান বাড়িয়ে তোলা এ উদ্যোগের লক্ষ্য।
ওএফ