রেল ভবনের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু মহিউদ্দিন রনির
লংমার্চ শুরু করেছেন রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা মহিউদ্দিন রনি। তিনি প্রথমে টিএসসি যাবেন। তারপর রেল ভবনে গিয়ে মহাপরিচালকের কাছে ছয় দফা দাবি জানাবেন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বাইরে প্রধান সড়ক থেকে বেলা ১২টা ২৮ মিনিটে তিনি এ লংমার্চ শুরু করেন।
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা দূর করার দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে কমলাপুর স্টেশনে ১২ দিন ধরে অবস্থান করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
গত ১৩ জুন রাজশাহী ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা-রাজশাহীর টিকিট কাটার চেষ্টা করেন তিনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটি নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কাটা হয়। ঘটনার পর রনি দ্রুত কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে জানানো হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না পেলে অভিযোগ করতে বলা হয়।
রনি জানান, অথচ তখন তার চোখের সামনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তার বুকিং করা ৬৮০ টাকার আসনটি আরেক যাত্রীর কাছে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন স্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর। এরপর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ১৪ এবং ১৫ জুন দুই বার অভিযোগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে কোনো শুনানির ডাক আসেনি।
রেলওয়ের এমন অব্যবস্থাপনা এবং ভোগান্তির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিসহ ৭ জুলাই কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন মহিউদ্দিন রনি। তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দেন। ফলে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি স্থগিত রেখে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান অব্যাহত রাখেন।
রনি আরও জানান, তাকে মামলা করার ভয় দেখিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করতে বলেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সরওয়ার। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাসুদ।
এদিকে রনির এ কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রেলওয়ের অনিয়ম ও ভোগান্তির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষ তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ