ডিএসসিসির ৩ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২ জনকে দুদকে তলব
বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎসহ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তিন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২ প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
১৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে তাদের হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। নোটিশে তলব করা কর্মকর্তাদের ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে দুদক ও ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের তলব করা হয়েছে, তারা হলেন- মেসার্স নওয়াল কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স জিকে এন্টারপ্রাইজের মালিক, ডিএসসিসির আঞ্চলিক অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ, মুন্সী মো. আবুল হাসেম ও তানভীর আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মো. পারভেজ রানা, সাইফুল ইসলাম জয়, নির্মল চন্দ্র দে, প্রেম ধন রুদ্রপাল এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মেজবা উদ্দিন রাসেল, মোল্লা আব্দুল মান্নান ও মো. দিদার আলম।
>>আরও পড়ুন : ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা
তলবি নোটিশে কর্মকর্তাদের ২০১৮ সালের কর্মরত পদবি উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, রাজস্ব কর্মকর্তা শাজাহান আলী, সাবেক মেয়রের পিএস ও কর কর্মকর্তা আলীম আল রাজি ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম, সিন্ডিকেট, বদলি বাণিজ্য, বিভিন্ন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মসহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন।
যদিও এরইমধ্যে গত ৬ মার্চ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামি ইউসুফ আলী সরদারের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৭৮৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। তিনি ওই বছরের ৩ জুনে সম্পদ বিবরণীতে দাখিল করেন, যেখানে ১ কোটি ৭০ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু অনুসন্ধানে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৩ লাখ ১০ হাজার ৭৮৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরএম/আরএইচ