ঈদগাহে কঠোর নিরাপত্তায় প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা
আজ মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
রোববার (১০ জুলাই) সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন। পল্টন মোড় হয়ে মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে আসছেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পর ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
তবে, এ নিয়ে কারও মনে কোনো ক্ষোভ দেখা যায়নি। বরং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ছোট ছেলেকে নিয়ে ঈদের জামাতে অংশ নিতে এসেছেন রাজধানীর আরামবাগের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, একসময় আমার বাবার সঙ্গে ঈদের জামাত পড়তে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসতাম। এবার আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সঙ্গে আমার ছোট ভাই ও বন্ধু আছে। এখনে বড় জামাতে ঈদের নামাজ পড়ার অনুভূতিই অন্যরকম। খুব আনন্দ লাগছে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইন ধরে আসতে হয়েছে। সময় লেগেছে। যেহেতু ঈদের জামাত, অনেক বিশেষ লোকজন এখানে নামাজ পড়বেন, তাই নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে।
জানা গেছে, ঈদের প্রধান জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। এছাড়া ঈদ জামাতে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নামাজ আদায় করবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে।
ঈদগাহ প্রাঙ্গণে অজুর ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র এবং র্যাবের কন্ট্রোল রুম রাখা রয়েছে। এছাড়া ঈদগাহের মূল গেটও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
এদিকে দেশের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল আজহা উদযাপন এবং ঈদগাহ ও মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহ ও মসজিদে আসতে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ঈদগাহ ও মসজিদের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার সময় প্রত্যেককে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং কেউ ঈদগাহ বা মসজিদে রাখা টুপি বা জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবেন না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অবশ্যই এক সারি খালি রেখে নামাজের জন্য দাঁড়াতে হবে।
এসআই/এসএসএইচ