রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সংস্থাগুলো সক্রিয় হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ উন্নত দেশগুলো একটু সক্রিয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত ৮ তলা অফিস ভবন উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা বিষয় আমি একটু না বললে নয়, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। আমরা মানবিক কারণে এ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু তিনটা বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। আমাদের জন্য আসলে এটা একটা বিরাট বোঝা। একে তো এ করোনাভাইরাস, তার ওপরে যুদ্ধ- এই পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলো যেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের এ সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের ওপরে এই আরেকটা বোঝা টানা যে কত কষ্টকর সেটা সবার উপলব্ধি করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নত দেশগুলো যদি আর একটু সক্রিয় হয়, এ রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে পারে, তাদের ছেলে-মেয়েরা যেন নিজের দেশে মানুষ হতে পারে, তারা একটা ভালো পরিবেশে চলে যেতে পারে, এভাবে ক্যাম্পের জীবন-যাপন যেন না করতে হয়। তাদেরও তো একটা মানবাধিকার আছে। কাজেই সে ব্যাপারে সবাই একটু সক্রিয় হবেন, সেটাই আমি আশা করি।
তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক কূটনীতিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। পৃথিবীটা একটা গ্লোবাল ভিলেজ। আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, আমাদের সেভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে। সবার সঙ্গে মিলে আমরা কাজ করবো যাতে মানুষের উন্নতি হয়। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত করতে চাই।
এ সময় করোনাভাইরাসের কারণে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে বলে জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, তার ওপর স্যাংশন আমাদের যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি করছে। আশা করি এ বিষয়টা উন্নত দেশগুলো একটু দেখবে। জলবায়ুর অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো- আমরা যাতে বাঁচতে পারি সেটাও সবাই দেখবেন তাই আমরা চাই।
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো ছিল সবার সঙ্গে আলোচনা করে দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছি বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য যতটুকু আছে আমরা সেইভাবেই চলতে চাই। আমরা অহেতুক কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত পয়সা নেই না। একটা কাজ করলে মানুষ কতটা লাভবান হবে, আমরা যেন কারো ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ি। আমরা যেন আত্মনির্ভরশীল থাকতে পারি, আত্মমর্যদাশীল থাকতে পারি এবং আমরা যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে চলতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এটা গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
এইউএ/এসএম