ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে নিউ মার্কেট
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার বিপণি-বিতান, মার্কেট ও শপিংমল। সকাল থেকেই মানুষের উপস্থিতি আর বিক্রেতাদের হাঁক ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
পুরোদমে ঈদের ছুটি শুরু না হলেও সপ্তাহের শুরু থেকেই আগেভাগে গ্রামে ফেরা মানুষজন পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড়, জুয়েলারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য কিনতে ভিড় করছেন।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নূর ম্যানশন মার্কেট, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের শুরু থেকেই ক্রেতার দেখা পেতে শুরু করেছেন তারা। কোরবানির ঈদে জামা কাপড়ের চাহিদা কম থাকলেও ক্রেতার পরিমাণ কম নয়।
তারা বলে, পাঞ্জাবি, পায়জামা, শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, কসমেটিকস, জুয়েলারিসহ সবধরনের দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। সন্ধ্যা নাগাদ পুরো নিউমার্কেট এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ঈদের আগ পর্যন্ত মানুষের এমন উপস্থিতি বজায় থাকলে ব্যবসার মন্দাভাব কাটানো যাবে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সাকুরা ফ্যাশনের প্রোপাইটর মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। গরমের জন্য সুতির শাড়ি কাপড়ের চাহিদাই বেশি। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শাড়ির দাম কিছুটা বাড়তি নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ঈদেও যে শাড়ি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি, সেটি এখন ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মজুরি বেড়েছে, সবকিছুর দাম বেড়েছে। এজন্য শাড়ির বাড়তি দাম।
সায়েন্স ল্যাবরেটরির জাহান ম্যানশনের ইমন পাঞ্জাবি ঘরের বিক্রয়কর্মী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে বিকেল থেকে ক্রেতার পরিমাণ বাড়তে থাকে। কোরবানির ঈদ হিসেবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ।
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে নিউ মার্কেটে অনেক মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে প্রতিবারই আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এ বছরও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত চারটি টহল টিম এবং পেট্রোল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব টিমের ডিউটি তদারকি করতে পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও নিউ মার্কেটের দুই নাম্বার গেটের সাথে র্যাবের একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
আরএইচটি/এমএইচএস