কাউন্টারের টিকিট পেতে ধীরগতি, অনলাইনেও ‘যুদ্ধ’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনে চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। রোববার (৩ জুলাই) বিক্রি হচ্ছে ৭ জুলাইয়ে (বৃহস্পতিবার) টিকিট।
সকালে কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় হাজারের বেশি মানুষ টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে। কয়েক মিনিট পরপর একেকজন টিকিট হাতে কাউন্টারের সামনে থেকে বেরিয়ে আসছেন। তাদের অভিযোগ, গত ২ দিনেও ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনতে পারেননি তারা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে লাগছে বেশ খানিকটা সময়।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি' জানিয়েছে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঢাকার ৬টি স্টেশনের কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৭১১টি। অন্যদিকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৯টি। এই টিকিট বিক্রির সংখ্যা থেকেও অনেকটা বোঝা যাচ্ছে, কাউন্টারে সত্যিই কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
এছাড়া টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন তাদের অধিকাংশই গতকাল থেকে অবস্থান করছেন। আর যারা আজকে ভোরে এসেছেন, তাদের অবস্থান পেছনের দিকে। পেছনের দিকে থাকা অধিকাংশই মনে করছেন, তারা টিকিট পাবেন না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে টিকিট প্রত্যাশী মো. খায়রুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১২ ঘণ্টা পর কাউন্টার সামনে এসেছি। টিকিট নিতে সময় লাগলো ৪ মিনিট। এমন সবার ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটছে। এতে করে মানুষের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
সৈয়দপুর স্টেশনের টিকিট প্রত্যাশী ফয়সাল আরেফিন বলেন, শনিবার সকালে থেকে অনলাইনে চেষ্টা করেও কোনো টিকিট পাইনি। পরে আজ ভোর ৫টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছি। এখানে এসেও অনলাইনে চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। যদি অনলাইনের টিকিট ব্যবস্থা ভালো করা যেত, মানুষের এতো ভোগান্তি হতো না। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই দীর্ঘ সময় লাইনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নম্বর উঠিয়ে তারপর টিকিট ইস্যু করতে হয়। এজন্য সময় লাগে।
সহজের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ বলেন, সকাল থেকে একসঙ্গে সবাই হিট করলে তো টিকিট পেতে একটু ধীরগতি হবেই।
এমএইচএন/এসএম