বিক্রি শুরুর আড়াই ঘণ্টায় শেষ টিকিট
ঈদ যাত্রার ৫ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল ৮টায়। কিন্তু বিক্রি শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট শেষ হয়েছে বলে অভিযোগ টিকিট প্রত্যাশীদের।
তারা বলছেন, প্রতি লাইনের প্রথম ১৫-২০ জন করে টিকিট পেয়েছে। বাকিরা আর টিকিট পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে যদি টিকিটই না পাই, তাহলে আর কী হলো ভোগান্তি ছাড়া।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশন ঘুরে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাহাদাত হোসেন নামে এক টিকিট প্রত্যাশী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি রাত সাড়ে ১১টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি লালমনিরহাটের টিকিটের জন্য। আমার সিরিয়াল নম্বর ছিল ৭৩। আমার সামনে ১৭-১৮ জন থাকতেই টিকিট শেষ! আগামীকালের জন্য আবার সিরিয়াল দিয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আকাশ আলী বলেন, রাত দেড়টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। আমার সিরিয়াল নম্বর ছিল ১৫০। আমি জানি পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে এক হাজার সিট থাকে। একজন মানুষ যদি ৩-৪টা করেও টিকিট কাটে তাহলে ৪০০ টিকেট শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এতো টিকিট কোথায় গেলো?
হাবিবুর রহমান বলেন, রাত ৩টায় টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। সকাল ৮টা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বলে জয়পুরহাটের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটতে না পেরে খুব কষ্ট লাগছে।
সালেহা বেগম নামে টিকিট প্রত্যাশী বলেন, আমি রাত সাড়ে ৪টায় এসেছি। এখানে দেখলাম টিকিটের জন্য নারীদের লাইনে মারামারি হয়েছে। মানুষ লাইন ভেঙে আগে চলে যাচ্ছে। মারামারিতে আমার কাপড়ও ছিঁড়ে গেছে। টিকিটের দেখা পেলামই না।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সবাই পাবে না। টিকিটের চেয়ে টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। অনলাইনে টিকিট আছে ১৩ হাজার কিন্তু দেখা যায় এক সঙ্গে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ হিট করছে টিকিটের জন্য।
অনলাইনে যাত্রীদের টিকিট না পাওয়া বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, সহজ থেকে আমরা যে ব্যাখ্যাটা পেয়েছি তা হলো, সকালে ১৩ হাজার টিকিটের জন্য আজ সাড়ে চার লাখ টিকিট প্রত্যাশী সার্ভারে প্রবেশ করেন। ১৩ হাজার মানুষই কিন্তু টিকিট পাবে বাকিরা টিকিট পাবে না। অধিকাংশ লোকই যেহেতু টিকিট পাবে না অভিযোগটা তাদেরই থাকবে। আমি নিজেও সকালে চেষ্টা করে দেখেছি টিকিট কাটতে পারিনি। এক সঙ্গে এত লোক টিকিট চাইলে তো আর পাওয়া সম্ভব হয় না।
এমএইচএন/আইবি/এসকেডি