‘শেখ হাসিনা ম্যাজিশিয়ান খালেদা দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। আর খালেদা জিয়া ছিলেন দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন। দেশের যেকোনো উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়।
আজ (২৯ জুন) সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পদ্মা সেতু : সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রীতির বাংলাদেশ আলোচনার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে যারা অপপ্রচার চালিয়েছিল, আজ তারা লন্ডনে বসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সাইবার ও ইন্টারনেট সম্প্রসারণের বিষয়ে দেশের এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এগুলোর মাধ্যমে আমাদের তথ্য পাচার হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্ম নিরপেক্ষতার মাধ্যমে বাঙালির বিভাজনকে দূর করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করে বিভাজনকে উস্কে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানি ভাবধারার নামের প্রবর্তন করা হয়েছিল।
গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতির বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রকারীরা আবুল হোসেন, আবুল হাসনাত মাহমুদ, মোশাররফ হোসেনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল। তারা যে নির্দোষ শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছেন সেতু উদ্বোধনে তাদেরকে পাশে রেখে।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতি খাতে বাজেট সবচেয়ে কম। যদি এই খাতে বাজেট বাড়ানো যায়, তাহলে সম্প্রীতির বাংলাদেশের এ ধরনের গোল টেবিল আলোচনার প্রয়োজন হতো না। হেনরী কিসিঞ্জার যখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু প্রবৃদ্ধি ৯ এ নিয়ে গিয়েছিলেন। কিছুই যখন বঙ্গবন্ধুকে আটকাতে পারেনি, তখনই ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালির জাতিসত্তা ও অহংকারকে দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সম্প্রীতি বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও বিএসএমএমইউ-এর সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাছিম আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী শিকদার, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া ও সুভাষ সিংহ রায়, বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ নেতারা।
আইবি/এমএইচএস