ব্যস্ততা বাড়ছে কামারপাড়ায়
কোরবানির পশু জবাই করতে চাপাতি-বটি কিনতে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় কামারের দোকান এসেছেন ব্যবসায়ী শফিক আহমেদ। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘোরা শফিক আহমেদ বলেন, ঈদের সময় কাছাকাছি এলে যদি এসব জিনিসের দাম বেড়ে যায়, তাই আগে আগেই আসা।
ঈদুল আজহার বাকি এখনও প্রায় দুই সপ্তাহ। রাজধানী ঢাকায় গরু-ছাগলের হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরেশোরে। গাবতলীর হাটসহ কয়েকটি হাটে পশুও তোলা শুরু হয়েছে। কাজ এগিয়ে রাখতে অনেকে তাই আগেভাগেই ছুটছেন কামারের দোকানে। তাতে ব্যস্ততা বাড়ছে এসব দোকানে।
সরেজমিন দেখা যায়, দোকানগুলোতে কেউ আসছেন পুরোনো ছুরি-কাঁচিতে শান দিতে। কেউ আসছেন নতুন কাজের অর্ডার নিয়ে। ঈদ সামনে রেখে পশু কোরবানির বড় ছুরি, ছোট ছুরি, চাপাতি, বটির চাহিদা বাড়ছে। তাতে আগামী সপ্তাহে ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন কামাররা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। তাদের দোকানে টুং-টাং শব্দ তুলে তৈরি হচ্ছে একেকটি ধারালো উপকরণ। ছুরিতে ধার দিচ্ছিলেন জুয়েল মোল্লা। এই দোকানি কাজের ফাঁকেই বলেন, ঈদের এখনও প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি। তাই পশু জবাইয়ের ছুরি-চাপাতি কিনতে এখনও মানুষের চাপ অতটা নেই। তবে সামনের সপ্তাহে চাপ বাড়তে পারে।
ঈদ উপলক্ষে চাপাতি, ছুরি ও বটির চাহিদা কিছুটা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে জুয়েল মোল্লার পাশের দোকানের কামার জিনাত মন্ডল বলেন, কেজি হিসেবে এখানে এসব জিনিস বিক্রি হয়। বটি কেজি হিসেবে মানভেদে ৪০০-২২০০ টাকা, দা ৫০০-১৫০০ টাকায়, ছোট ছুরি ১৫০-৫০০ টাকায়, বড় ছুরি ৮০০-২০০০ টাকায় এবং চাপাতি ৩৫০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করছি।
এই কামারি আরও বলেন, এখনও কাস্টমারের চাপ বাড়েনি। তবে আগামী সপ্তাহে এই চাপ বাড়বে। কারণ কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসবে, হাট জমজমাট হবে, পশুর বেচাকেনা বাড়বে।
এএজে/জেডএস