সরকারি ইনজেকশন বাইরে বিক্রির চেষ্টাকালে ঢামেকের ফার্মাসিস্ট আটক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে সরকারি ইনজেকশন বাইরে বিক্রির চেষ্টাকালে ইসমাইল হোসেন (৩৪) নামে হাসপাতালের এক ফার্মাসিস্টকে আটক করেছে র্যাব-৩। সোমবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বহির্বিভাগের মেডিসিন স্টোরের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-৩ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালে বহির্বিভাগের মেডিসিন স্টোরের সামনে থেকে বাইরে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় র্যাব তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে সরকারি বিক্রয় নিষিদ্ধ ১৯৫ পিস ইনজেকশন (নেলবান) পাওয়া যায়। পরে তাকে পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়। পরিচালক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাবের হেফাজতের দিয়ে দেন। পরে তাকে হেফাজতে নেয় র্যাব। এ ঘটনায় বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন।
র্যাব আরও জানায়, আটক ইসমাইল হোসেন ঢামেক হাসপাতালে তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বর্তমান ক্রীড়া সম্পাদক। তার পিতার নাম আ. কুদ্দুস মোল্লা। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। এর আগেও সরকারি সুতাসহ ওয়ার্ড বয় হাকিমকে আটক করেছিল র্যাব।
সরকারি ইনজেকশনসহ র্যাবের হাতে আটক ইসমাইল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এই ইনজেকশন বাইরে নিয়ে ১৪ টাকা দামে বিক্রয় করি। এটা যে কোনো ফার্মাসি থেকে কিনতে গেলে ৯০ টাকা করে লাগে।
এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেডিসিন স্টোরের অনেকেই জড়িত আছে, আমি কারো নাম বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। আমাদের কর্মচারী যারা জড়িত আছে তাদের আমরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে অনেকেই সচেতন হয় এরপরেও অনেকে আছে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় না।
তিনি বলেন, আজ র্যাব তাদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সময় ইসমাইল হোসেন নামে এক ফার্মাসিস্টকে আটক করে। আমার বিশ্বাস সে সব অপকর্মের সঙ্গে যারা লিপ্ত তারা এই ঘটনার পরে সতর্ক হবেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সকলের প্রতি আপনাদের মাধ্যমে আমার মেসেজ থাকবে, এ সুযোগ কেউ যেন না নেয়। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন আমরা এগুলো বন্ধ করতে চাই। আশা করি, আপনাদের সহযোগিতা পেলে এই অপকর্মগুলো আমরা বন্ধ করতে পারব। অনেক ওষুধ আছে যেগুলো সহজে পাওয়া যায় না আমরা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে অনুরোধ করে জনগণের কথা চিন্তা করে এসব ওষুধ সংগ্রহ করি। একটি চক্র এ সব ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেয়। এর আগেও হাকিম নামে সরকারি একজন স্টাফকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুতাসহ গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
এসএএ/এসকেডি