চসিকের ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এছাড়া আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করলেন তিনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেটের মধ্যে নিজস্ব উৎসে আয় ধরা হয়েছে ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান খাতে সরকার থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। অন্যান্য উৎস খাতে ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল বাজেট হলেও সংশোধিত বাজেটে তা দাঁড়ায় এক হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা এবং চট্টগ্রাম নগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, নান্দনিক ও বাসযোগ্য নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই বাজেট। জনগণের প্রত্যাশিত সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি বৃহৎ পরিবার। এখানে অনেক সেবা সংস্থা রয়েছে যারা নগরবাসীকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সবচেয়ে বড় ও নগরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। সমস্যা আছে এবং থাকবেই। মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাধানের পথ আমাদের খুঁজতে হবে। নগরবাসী আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের নির্বাচিত করেছেন, তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে হবে। অতীত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। যা আছে তা নিয়েই আমাদের ভবিষ্যৎ পানে এগিয়ে যেতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নকল্পে বিগত এক বছরে অনেকগুলো নতুন প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর প্রধান ৩৬টি খালে ৫ হাজার ৬শ ১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প সিডিএ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার বাস্তবায়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। এছাড়া নগরীর অবশিষ্ট ২১টি খালে উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/এসএসএইচ