খোলা তেল বোতলজাত হয়ে হতো ‘রমনী’ ফর্টিফাইড সয়াবিন
বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে খোলা ও ভেজাল তেলের ব্যারেল থেকে মোটর পাম্পের মাধ্যমে তেল বোতলজাত করে বিক্রি করার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, ‘রমনী ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল’ নাম দিয়ে প্লাস্টিকের বোতলে করে তারা তেলগুলো বাজারজাত করে আসছিল। এ তেল খেলে নানা রোগ-ব্যাধিসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর বন্দর থানার হালিশহর এলাকা থেকে মো. হুমায়ুন কবিরকে (৪২) আটক করার পর র্যাব এসব কথা জানায়।
এসময় ঘরের ভেতর থেকে অনুমোদনহীনভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা আনুমানিক ২ হাজার ৭০০ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল এবং ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। জব্দ করা ভেজাল সয়াবিন তেলের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
শুক্রবার (২৪ জুন) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, এ এস এস করপোরেশন নামের এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে খোলা বাজার থেকে নিম্নমানের ভেজাল সয়াবিন তেল সংগ্রহ করত। এরপর তাদের ফ্যাক্টরিতে ভেজাল সয়াবিন তেল প্রক্রিয়াজাত করে রমনী ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল নামের প্লাস্টিকের বোতলে করে বাজারজাত করত। তারা অনুমোদনহীনভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খোলা তেল বোতলজাত করে আসছিল।
তিনি বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তারা রাতে বিভিন্ন ভেজাল উপাদান দিয়ে সয়াবিন তেল তৈরি করে সকালে বোতলজাত করত। এরপর বাজারজাত করার উদ্দেশে গোডাউনে সংরক্ষণ করত। এছাড়া দিনে এই প্রতিষ্ঠান কোনো কাজ করে না এবং প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার মতো কোনো সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ব্যানার ব্যবহার করে না।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা গেছে, প্লাস্টিকের বোতলে তেল ঢেলে তা মেশিনের সাহায্যে মুখ বন্ধ করা হতো। এরপর বোতলের গায়ে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়া বিএসটিআই লোগো যুক্ত রমনী ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল নামের লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে কার্টনে করে গোডাউনে সংরক্ষণ করত। পরে নিজস্ব কর্মচারী দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় এসব বোতলজাত তেল বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মুনাফা আয় করে আসছিল।
বিএসটিআইয়ের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার আশায় খোলা বাজার থেকে ভেজাল মিশ্রিত সয়াবিন তেল সংগ্রহ করে ওই তোল এএসএস করপোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানের প্লাস্টিকের বোতলে করে বাজারজাত করে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে আটক হুমায়ন।
কেএম/এসএসএইচ