সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার এপিএ স্বাক্ষর
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এবং দপ্তর-সংস্থার পক্ষে দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে সংস্কৃতি। শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়ে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়, সংস্কৃতিও এক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
মো. আবুল মনসুর বলেন, সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেগুলোকে একসঙ্গে জড়ো করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী গুছিয়ে করতে চাই।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরকারী ১৭টি দপ্তর-সংস্থা হচ্ছে যথাক্রমে বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি ও নেত্রকোণা, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী এবং মণিপুরি ললিতকলা একাডেমী কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো আবুল মনসুর।
শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হচ্ছেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের মধ্য থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রতন চন্দ্র পণ্ডিত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আতাউর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সগীর হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ ও অফিস সহায়ক মো. সাদ্রিব হোসেন।
এসএইচআর/আইএসএইচ