ঢাকার মশক নিধনের ওষুধ কার্যকর হলে চসিকে ব্যবহার : মেয়র
ঢাকায় মশা নিধনে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই ওষুধ কার্যকর হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায়ও ব্যবহার করা হবে। আর সেই ওষুধ কার্যকর কি-না তা জানতে সিটি করপোরেশনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর নতুন চাদগাঁও মোড় এলাকায় সিটি করপোরেশনের মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির একশ দিনের ক্রাশ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘রোববার সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ঢাকায় পাঠাবো। ঢাকায় মশক নিধনের জন্য কী ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করছে তা সরেজমিনে দেখে আসবে ওই প্রতিনিধি দল। ওই ওষুধ কার্যকর হলে তা চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হবে।’
এসময় মেয়র আরও বলেন, যে সমস্ত নালা-নর্দমা ময়লা অবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলো পরিষ্কার করে মশার ওষুধ ছিটানো হবে, যাতে মশার উৎপত্তি হতে না পারে।
রেজাউল করিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর অনেক রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। রাস্তায় অনেক খানাখন্দ রয়েছে, গর্ত হয়ে গিয়েছে। এতে যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ১০০ দিনের মধ্যে তো আর নতুন রাস্তা তৈরি করা সম্ভব না। কিন্তু যেসব রাস্তার অবস্থা খারাপ সেগুলো এ সময়ের মধ্যে সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কাজ নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, রাস্তাঘাট সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা। যে কাজের সূচনা করছি, তা অব্যাহত থাকবে।’ সবার সহযোগিতায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর একটি পরিকল্পিত শহরে পরিণত হবে বলে জানান মেয়র।
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরীতে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চায় স্থানীয়রা। নগরীর এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা এস এম মিজান বলেন, সন্ধ্যার পর মশা বেড়ে যায়। রাতে মশার কয়েল বা মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। মনে হচ্ছে দিন দিন মশার উৎপাত বেড়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ীর বাসিন্দা পারুল আক্তার বলেন, সন্ধ্যায় বাচ্চারা পড়ার টেবিলে বসলে মশার কামড়ে ঠিকমতো পড়তে পারে না। মশক নিধনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এসএসএইচ