একুশের গান ইউনেস্কো হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এটি অনুষ্ঠিত হয়, যাতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতারা বলেন, তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, দেশের সর্বস্তরের বিশিষ্টজনেরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ দেশে আনা এবং ২৮ মে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাগরিক শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ড. শফিউর রহমান, শাহে আলম মুরাদসহ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতারা।
নাগরিক শোক সভায় উপস্থিত বক্তারা আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর একুশের গান ইউনেস্কো হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া, তার সাহিত্যকর্ম ও কলামসমূহ সংরক্ষণ করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ব্যবস্থা নিতে হবে, বাংলা একাডেমিতে তার নামে ভবন নির্মাণ ও কর্নার স্থাপন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে হল নির্মাণ করা, ঢাকায় একটি সড়কের নাম তার স্মরণে নামকরণ।
আরও রয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশের গানসহ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ভাস্কর্য স্থাপন করা, বরিশালে সদ্য নির্মিত লেবুখালি পাঁচরা সেতু আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মরণে নামকরণ, তার পরিবারকে স্থায়ী ভাতা ও ঢাকায় স্থায়ী বাসভবন প্রদান, সব বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জীবনী ও একুশের গান অন্তর্ভুক্তকরণ, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় উলানিয়া গ্রামে তার ঐতিহাসিক বাসভবন ও মোগল আমলের মসজিদ ও দীঘি সংরক্ষণ।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরএইচ