পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন ৩ সেতুর টোল মওকুফের প্রস্তাব
আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধন উপলক্ষে দীর্ঘ সময় পর তিনি জনসমাবেশে যোগ দেবেন। ফলে লাখো মানুষের ঢল নামতে পারে সমাবেশ এলাকায়। বিপুল পরিমাণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও যানজট এড়াতে ৩ সেতুর টোল মওকুফের প্রস্তাব করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন সেতুর ২ পাশের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর টোল মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অর্থ বিভাগ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। আগামী রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অর্থ বিভাগে পাঠানো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ জুন বহু প্রতীক্ষিত গর্বের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। ওই দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের বহনকারী যানবাহনসহ সাধারণ যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি পাবে। যানবাহনগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু, ধলেশ্বরী সেতু ও আড়িয়াল খাঁ সেতু অতিক্রম করবে। সেতু তিনটিতে বর্তমানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল কালেকশন করা হচ্ছে বিধায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। তাই উদ্বোধনী দিনে টোল আদায় না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছেন।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (বুড়িগঙ্গা-১) সেতু থেকে ইজারার মাধ্যমে দৈনিক ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৬ টাকা, ধলেশ্বরী সেতু থেকে বিভাগীয়ভাবে দৈনিক ৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯১ টাকা এবং আড়িয়াল খাঁ (হাজী শরীয়ত উল্লাহ) সেতু থেকে বিভাগীয়ভাবে দৈনিক ৬২ হাজার ৩৪৪ টাকা টোল আদায় করা হয়। অর্থাৎ তিনটি সেতু থেকে একদিনে সর্বমোট ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮১ টাকা টোল আদায় হয়। ২৫ জুন তারিখে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখার জন্য টোল আদায় মওকুফ রাখা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব ফাহমিদা হক খান শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা গত ১৩ তারিখে বিষয়টি অর্থ বিভাগে জানিয়েছি। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আগামী রবি বা সোমবার নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এমএইচএন/এসকেডি