দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য দূর করতে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভীন্ন শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে এ অঞ্চল থেকে দারিদ্র্য দূর করতে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। তাই দারিদ্র্য দূর করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশনের (সার্ক) মহাসচিব এসালা রুয়ান উরাকুন ও তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর উচিত পরস্পরকে সহযোগিতা করা। দ্বিপাক্ষিকভাবেই অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর কলকাতা সফরে তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণা দিয়ে সেখানে বক্তব্য দেন।
সার্কের মহাসচিব সার্ক খাদ্যব্যাংক শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারে অবদান রাখায় তিনি বাংলাদেশের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
শ্রীলঙ্কায় জন্মগ্রহণকারী এসালা উইরাকুন বলেন, তার দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মহামারিও দায়ী। তিনি এই সংকটময় মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার এই সংকটকালে বাংলাদেশ দেশটিকে আলু সরবরাহ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অধিক খাদ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশি গবেষকরা লবণাক্ততা ও খরা সহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির ধান উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে সার্ক মহাসচিব বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং প্রশংসা করেন।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
জেডএস