কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণের অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।
রোববার (৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।’
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হবে। কমিটিকে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য কাজ করছে এবং উদ্ধার অভিযান ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা দলও নিয়োজিত রয়েছে। রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিস্ফোণের কারণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিক সামগ্রী সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়া রোধে এ দলটি কাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশও ঘটনাস্থলে সহায়তা করছে। তাছাড়া, বিস্ফোরণে আহতদের সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম গতকাল রাত থেকে কাজ করছে।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও সিএমএইচ-এ স্থানাস্তরে সেনাবাহিনী অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা করছে। এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৪ জন সদস্যসহ চট্টগ্রাম সিএমএইচে ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
এএইচআর/এমএসি/এসএম