ইভিএম নিয়ে মন্তব্য, সেই মুজিবুলের বক্তব্য তদন্তের নির্দেশ
‘ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতাম’ মন্তব্যকারী চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর বক্তব্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর ইভিএমের ভোট সম্পর্কে ফেসবুকে অপপ্রচারের বিষয়ে যাচাইপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণায় গিয়ে বলেন, ‘রিকশায় করে পারেন, যেমন করে পারেন ভোট দেওয়ার জন্য… কারণ ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে কাউকে না খোঁজে ভোট আমি মেরে দিতাম। কথা বুঝেন নাই। ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢুকালে হয় না। ওটা না হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম। তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটা (এনআইডি) নিয়ে যেতে হবে। গিয়ে মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বুঝেন নাই। সরকার ইভিএম একটা করছে, তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙ্গুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি চাপ দেওয়ার মানুষ রাখব। আমার জন্য একটু দোয়া করবেন সবাই।’
৪০ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সেই প্রার্থীর বক্তব্য তদন্তের নির্দেশ দিল ইসি।
এর আগে কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট ডিসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলে ইসি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠান জেলা প্রশাসক। যার ভিত্তিতে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলেও সতর্ক করেন নির্বাচন কমিশন এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটনার জন্য হুঁশিয়ারি দেন।
বর্তমান কমিশন ইভিএম নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। তারা মেশিনটি পারফেক্ট ও নির্ভরযোগ্য বলেছেন। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। বর্তমানে ইসির হাতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম আছে। এই সংখ্যক মেশিন দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করা যাবে।
এসআর/এসকেডি