১০ দিনের মধ্যে খাল-নালার বাঁধ অপসারণ করতে হবে : চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বিগত কয়েক বছর ধরে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে অনেকগুলো খাল ও নালায় বাঁধ দিতে হয়েছে এবং খাল-নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলো সরিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচলের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ও সিডিএকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা বাঁধ অপসারণ করেনি। যে কারণে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সবগুলো খাল ও নালার বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (২৯ মে) চসিক পুরাতন নগর ভবনের কে বি আব্দুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১৬তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল করিম চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, মুরাদপুরসহ অনেক এলাকায় জলজটের কারণে যে নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার থেকে কোনো ধরনের থোক বরাদ্দ পায় না, নিজস্ব রাজস্ব খাত থেকে এত বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার নির্বাহ করতে হয়। কর আদায়ের ক্ষেত্রে সঠিক ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না বিধায় কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা ব্যর্থ। অন্যদিকে কর আদায়ের ২৬টি খাতের মধ্যে মাত্র কয়েকটি খাত থেকে কর আদায় করা হয়। অন্যান্য খাতগুলো চিহ্নিত করে রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনুমতিক্রমে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইমারত নির্মাণের ওপর কর আদায় করছে। চসিকেরও ইমারত খাতের ওপর থেকে কর আদায়ের ব্যবস্থা ও নালার ওপর স্ল্যাব বসিয়ে সুবিধা ভোগ করছেন তাদেরও করের আওতায় আনতে হবে।
মেয়র মশক নিধনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় বিধায় এখন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সচিব, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা।
কেএম/এসএসএইচ