এলজিএসপি প্রকল্পে বড় বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বব্যাংক
লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টে (এলজিএসপি) আরও বড় আঙ্গিকে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে। অনেক বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের এলজিএসপি প্রোগ্রামে তারা আরেকটু বড় আঙ্গিকে বিনিয়োগ করতে চায়।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের উন্নয়নের ব্যাপারে কী করা যায়, সে ব্যাপারে কথা বলেছি। তারা সবক্ষেত্র থেকে আমাদের অর্থায়নের কথা বলেছে। সেনিটেশন এবং ওয়াটার সাপ্লাই, এ সব বিষয়ে কথা হয়েছে। গ্রামীণ কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ব্রিজ, রাস্তাঘাট এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আজকের মিটিংয়ের প্রেক্ষাপটে তারা তাদের হেডকোয়ার্টারে কিছু প্রস্তাবনা পাঠাবে। বর্তমানে তাদের ২.৮৭ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়নের কাজ চলমান আছে। আমাদের কাজকর্মের বিষয়ে তারা অনেক ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে যে, প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক সারাবিশ্বে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় আমাদের তুলনায় তাদের অভিজ্ঞতা বেশি আছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এখন বিদেশি ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। আমাদের সমসাময়িক আশেপাশের দেশগুলোর অধিকাংশের জিডিপির ৮০/৯০ ভাগের বেশি। এশিয়ার মধ্যে ঋণের দিক দিয়ে আমাদের অবস্থা সবচেয়ে ভালো, সব চেয়ে কম ঋণ আমাদের। সেজন্য তারা আমাদের আরও বেশি ঋণ দিতে চায়। আমরা ঋণ বুঝে শুনেই নেব।
বিশ্বব্যাংক আর কত টাকা বিনিয়োগ করতে চায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করছে, সেটি আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আরেকটি ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছি। দ্রুত তারা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯ হাজার কোটি) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এসএইচআর/এসকেডি