সেই কনস্টেবলকে দেখতে হাসপাতালে আইজিপি
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল জনি খানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। সোমবার (২৩ মে) দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান তিনি।
এ সময় বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পুলিশ কনস্টেবল জনিকে দেখতে এসেছিলাম। আল্লাহর অসীম রহমতে এখন তিনি ভালো আছেন। তার অপারেশনে সঙ্গে যুক্ত এ হাসপাতালের সব ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, তার জটিল অপারেশনটি করতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে। দেশের চিকিৎসা যে অনেক এগিয়েছে এটা তার প্রমাণ। আমরা সবার কাছে কনস্টেবল জনির জন্য দোয়া চাই। যে তার কবজি বিচ্ছিন্ন করেছিল, আমরা তাকে আটক করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা তো ঝুঁকিপূর্ণ কাজই করি। পুলিশের কাজই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি বছর আমরা অনেক সহকর্মীকেই হারাই। প্রতিটি ঘটনা থেকে আমরা শিখি এবং সতর্ক হই। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের লোকজন যাতে সেফ থেকে অপারেশন চালাতে পারে। তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ঘটে যায়। আমাদের কাজই হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া।
পুলিশ কোনো জনগোষ্ঠী বা কারো টার্গেট কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা এভাবে দেখি না। আমরা অপরাধী এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করি। যারা অপরাধী-সন্ত্রাসী, তারা তো ভয়ানক ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এসব আমরা জেনেই সতর্কতার সঙ্গে অপারেশনগুলো করে থাকি।
ভারতে ধরা পড়া পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পুলিশের কোনো উদ্যোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এটা মূলত দুদকের মামলা। আমরা দুদককে সহযোগিতা করছি। পিকে হালদার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনসিবির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলাম। ভারত ও এনসিবির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে।
এ সময় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএএ/আরএইচ