৪৮ ঘণ্টার অভিযানে তিনটি বাহিনীর প্রধানসহ ৮ দস্যু গ্রেপ্তার
৪৮ ঘণ্টার অভিযানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া এলাকা থেকে তিনটি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৪মে) চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
গ্রেপ্তার হওয়া দস্যুরা হলেন, কালু বাহিনীর প্রধান মো. কালু গুরা কালু (৪০), আজিজ বাহিনীর প্রধান মো. আজিজুল হক অংক (৪৬), সাহাব উদ্দিন বাহিনী সাহাব উদ্দিন (৪৭), নুরুল বশর (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৮), নেজাম উদ্দিন (২৯), ছলিম উল্লাহ বাবুল (৫৫) ও জিয়াবুল হক জিকু (৫০)।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের দস্যু বাহিনী কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর সম্প্রতি তারা আবার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ লবণচাষি ও জেলেদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইসব এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব৷ এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৩ মে) থেকে শনিবার (১৪ মে) পর্যন্ত বাঁশখালী, পেকুয়া, ও কুতুবদিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের স্থল ও সাগর পথে অভিযান পরিচালনা করে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দুনলা বন্দুক, ৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের পর উপকূলীয় অঞ্চল বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জেলে ও লবণচাষিরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার ও লবণ চাষ করতে পারবেন। এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম আমাদের ২-৩ বছরের আগের অভিযানের পর ডাকাতরা পেশা বদল করেছে।
কিন্তু এখন আমাদের কাছে মনে হয়েছে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। যারা জেলে ও চাষিদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, মো. কালুর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানায় হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ ১০টি মামলা রয়েছ। তিনি আগে দস্যু হিসেবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও পুরনো কাজে ফিরে যান।
মো. আজিজুল হক অংকের বিরুদ্ধে মহেশখালী এবং পেকুয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ৩টি মামলা রয়েছে। তার গ্রুপে ১০ জন সদস্য রয়েছে। তারা লবণচাষিদের জিম্মি করে এলাকাভিত্তিক চাঁদাবাজি করে।
র্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ৬টি, নুরুল বশরের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, সংক্রান্ত ১টি, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি সংক্রান্ত ২টি, নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি সংক্রান্ত ৩টি মামলা রয়েছে ও ছলিম উল্লাহ বাবুলের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ১৫টি মামলা রয়েছে।
কেএম/এসকেডি