টাকা ফেরতের দাবিতে রামপুরায় গ্রিন বার্ড গ্রাহকদের বিক্ষোভ
প্রায় ৫ হাজার গ্রাহকের অন্তত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার রাতে গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের মালিক আলাউদ্দিন হোসেনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেই পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে আজ দুপুর থেকে রামপুরা থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো গ্রাহক।
কথিত এ সমবায় সমিতি থেকে পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে রামপুরা থানার সামনে বিক্ষোভ চললেও কোনো গ্রাহক এখনো মামলা করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী গ্রাহকদের মধ্যে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের মাধ্যমে তথ্য কাগজে-কলমে পাওনা টাকার হিসাব চলছে।
বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা জানান, মঙ্গলবার রাতেই প্রায় ৫ হাজার গ্রাহকের ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এর মালিক আলাউদ্দিন হোসেন। গ্রাহকদের অধিকাংশই নিম্নবিত্তের। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশের লোভে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না। এ জন্য মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এর অফিস ঘেরাও করা হয়। অবরুদ্ধ হন মালিক আলাউদ্দিন হোসেন। পরে রাতেই পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে নেয়।
বুধবার (১১ মে) সকালে প্রথমে মেরাদিয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা। পরে পুলিশের অনুরোধে রাস্তা ছাড়লেও পরবর্তীতে রামপুরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের কার্যালয় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এর মালিক আলাউদ্দিন হোসেন। তিনি এটিকে সমবায় সমিতি হিসেবে পরিচালনা করছিলেন। অপেক্ষাকৃত নিম্নবিত্তরা এ সমিতিতে টাকা জমা রাখছিলেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, মালিক আলাউদ্দিন হোসেন তাদের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি মুনাফা দেবেন। কিন্তু এখন মালিক আলাউদ্দিন মুনাফা তো দূরে থাক জমানো টাকাও ফেরত দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় কার্যালয় ঘেরাও করেন গ্রাহকরা। আজ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন পাওনা টাকার দাবিতে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আলাউদ্দিন হোসেনকে থানা হেফাজতে রাতেই আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের টাকা ফেরতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তারা কাগজে-কলমে তথ্য নির্ভর পাওনাদার গ্রাহকের সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ নিরূপণ করছেন। এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের দাবি পাওনা টাকার পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা। আর মালিক আলাউদ্দিন স্বীকার করেছেন ৩০ কোটি।
ওসি বলেন, থানা পুলিশের কাজ টাকা উঠিয়ে দেওয়া নয়। আমরা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি আপনারা মামলা করেন আইনের আশ্রয় নেন কিন্তু তারা মামলা করতে রাজি হচ্ছেন না।
জেইউ/এসকেডি