হাসপাতালের সিসিইউতে সম্রাট, মুক্তি পাবেন এখান থেকেই
সব মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণে যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তবে তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) চিকিৎসাধীন। এখান থেকেই জামিনে মুক্তি পাবেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্রাট শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিএসএসএমইউর ডি-ব্লকের সিসিইউতে আছেন। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি কারারক্ষী রয়েছে। সেখান থেকেই মুক্ত হবেন তিনি।
বিএসএমএমইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত কারারক্ষী সূত্র জানায়, সম্রাটের ৪টি মামলার মধ্যে ৩টির জামিনের নথিপত্র কারাগারে এসেছে। সর্বশেষ জামিনের কাগজে এলে আমরা তাকে পুরোপুরিভাবে চিকিৎসকের হাতে হস্তান্তর করব। চিকিৎসক তাকে রিলিজ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
তার আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল গণমাধ্যমকে জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলায় ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন তিনি। কারাগারে ছিলেন দুদকের মামলায়। এ মামলায় জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তার কারামুক্ত হতে আর কোনো বাধা থাকল না।
সম্রাটের পক্ষের অপর আইনজীবী মো. হাবিবুর রহমান জানান, তিন শর্তে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অসুস্থতা বিবেচনায়, বিদেশে না যাওয়া ও প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল একই আদালত এ মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আগে, ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ক্যাসিনো কাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
এআর/ওএফ